মেহেরাব হোসেন, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মাদারীপুরের শিবচরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শিবচর উপজেলা একাত্তর চত্বর থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টা থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা একাত্তর চত্বরে সমবেত হন। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে তারা সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অংশ নেন র্যালিতে।
সমাবেশে বক্তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এই দিবস দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক দিন। বক্তারা আরও বলেন, দলের ত্যাগী নেতা হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন, তাই মাদারীপুর-১ আসনে তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া সময়ের দাবি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকি বলেন, “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হবো। দলের দুঃসময়ে আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম। জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেও দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। দলের সঙ্গে কখনো বেইমানি করিনি, করবো না। জনগণ আমাকে ভালোবাসে, আমি জনগণেরই একজন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেমায়েত হোসেন খান, বিএনপির সদস্য শামীম আহসান চৌধুরী, মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী তুমন, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা কুতুবউদ্দিন, শিবচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিলন ও সদস্য সচিব মনজিল রহমান সিহাব, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ খান তুরাগ, সদস্য সচিব সাইদুর বেপারী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ গোমস্তা, সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান, সদস্য সচিব আকিব খান, উপজেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক সুহাদা আক্তার, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আ. ছাওয়ার উকিল, সদস্য সচিব বিদ্যুৎ দত্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।