মোঃ আরিফুল ইসলাম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। পরে ব্যানার, ফেস্টুন এবং স্লোগানে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জনাব গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা ধারণ করে রাউজানেও একটি ব্যালট বিপ্লব করতে হবে।
রাউজানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী , দখলবাজি, গুম ও খুনের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে ধানের শীষের পক্ষে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে রাউজানকে একটি সমৃদ্ধশালী ও শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাউজানের আপামর জনসাধারণ যদি আমাকে সুযোগ দেয়, তাহলে আমি সুখী সমৃদ্ধশালী সন্ত্রাসমুক্ত ও একটা শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠা করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকিব।
জনাব গোলাম আকবর খোন্দকার আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সমগ্র জাতি যখন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র নস্যাত্ করে দিয়ে দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনে সিপাহি-জনতা তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ক্রান্তিময় সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশে প্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। সূচনা করেন উন্নয়ন ও উত্পাদনের নবধারার রাজনীতি।
তাই ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য ঐতিহাসিক তাত্পর্যমণ্ডিত দিন। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনে বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে এসেছিল।
তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জনাব শরাফত উল্লাহ বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ভার্চুয়ালে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখছিলেন।
রাউজন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন ও যুবদল নেতা এন আই বাবুলের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ জসিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে রাউজান পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত জনসভায় বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব রাউজান উপজেলা বিএনপি নেতা নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নুরুল হুদা, জিএম মোরশেদ,অ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার, এডভোকেট ফারহানা ইসলাম, মুরাদুল আলম, একরাম হোসেন, সেলিম নূর, এডভোকেট রফিকুল আলম, এডভোকেট আবু সাঈদ, আব্দুল কাদের, দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ রফিক, জিয়াউদ্দিন হায়দার, কমলেন্দুশীল, এমদাদুল হক, সিরাজউদ্দৌল্লাহ চেয়ারম্যান, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদ, মোহাম্মদ ফারুক, নাঈম উদ্দিন মিনহাজ, রহিম উদ্দিন ওয়াসিম, রায়হান উদ্দিন ইরফান, সাফায়েত হোসেন রাকিব, সিরাজ মেম্বার, আব্দুল মান্নান, আবু তাহের সওদাগর, আনোয়ারুল আজিম, দিদারুল আলম, রফিকুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, ইলিয়াস অভি, আফসারুজ্জামান, হাসান মোর্শেদ, ফজলুল কাদের, এডভোকেট আরিফুর রহমান, মাহাবুবুল আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, ইমরানূল হক সোহেল, শাকিল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী, আল মারুফ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কাজী মোরশেদ, শেখ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ সোলেমান, মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ আরিফ, আব্দুল মান্নান, বেদারুল আলম, সেলিম উদ্দিন, মনজুরুল আলম, পিয়ার মোহাম্মদ বাবু, প্রকাশ বড়ুয়া, গৌতম বিশ্বাস, মোহাম্মদ বাদশা,মাসুদ পারভেজ রনি, মুরাদুর রহমান, মোহাম্মদ এরশাদ, ফোরকান সিকদার, জিয়া মেম্বার, মোহাম্মদ আজগর, এসকান্দর জমির সাহেব, সুমন মাসুদ ফরহাদ, সাজ্জাদ সাগর দিদার, বিপুল তালুকদার, প্রীতম সরকার, মোহাম্মদ শওকত, মাহামুদুল হক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন—৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিন জাতীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীন চিন্তার প্রতীক। বক্তাদের মতে, গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বে রাউজানের মানুষ এখন আরও সুসংগঠিত এবং গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।
সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জনসমাবেশটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করে।