নোমাইনুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:
সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায়ও যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।
দিনটি শুরু হয় দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে। পরে বিকেলে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
র্যালি-পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ওমর আলী এবং সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত উল্লাহ খাঁজা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নিজাম উদ্দিন বাবু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাবেদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বাহারীসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ!
র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সৈনিক ও জনতার ঐক্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশ পুনরায় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসে।”
তারা আরও বলেন, “৭ নভেম্বর শুধু একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এই চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে।”
বক্তারা বলেন, “আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীপেন দেওয়ানকে বিজয়ী করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, তবেই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।”
তারা আরও বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তারই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামী দিনের আন্দোলন ও নির্বাচনে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”