মোঃ আতেফ ভূঁইয়া, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বরমী এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী এনামুল হক মোল্লাকে অস্ত্র ও ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রিফিং করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেনাবাহিনীর আর্মি ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ লুৎফুর রহমান অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, “গত ৬ নভেম্বর গাজীপুর আর্মি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে পুলিশ ও রযাবের সহযোগিতায় শ্রীপুরের বরমী এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়। এসময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী এনামুল হক মোল্লাকে তার নিজ বাড়ির পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।”
অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, ৪টি ওয়াকিটকি এবং ২টি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফুর রহমান বলেন, “সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য একটি মহল অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এসব মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদেরও কোনো না কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। আমরা তাদেরও চিহ্নিত করছি এবং প্রমাণ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযানের সময় বহু গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবুও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সন্ত্রাসীর বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত মালামাল হারানোর মতো মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসব অপপ্রচারে যারা জড়িত, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।”
এলাকাবাসীর সহযোগিতার প্রশংসা করে সেনা কর্মকর্তা বলেন, “সেনাবাহিনী কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, বরং দেশের পক্ষে কাজ করে। গাজীপুরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”