মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাসির নগর (ব্রাক্ষণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর - লাখাই /নাসির নগর -রতনপুর /নাসির নগর সরাইল সড়কের ওপর নির্মিত চারটি সেতুই বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ভাঙাচোরা ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়েই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত ভারী যানবাহন ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। নাসিরনগর-হবিগঞ্জ ও রতনপুর থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি হলো এটি। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত ভারী যানবাহন—যেমন বাস, ট্রাক, বালু ও পাথরবোঝাই ট্রাক, ইন্টারডিস্ট্রিক পরিবহনসহ শত শত সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল করে।
বিগত দুই দফা বন্যায় এসব সেতুর বেশ কয়েকটি ভেঙে ছুড়ে খুব খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। পরে অস্থায়ীভাবে সংস্কার করলেও এখনো সেগুলো খুব ই ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দুই সীমানার মাঝখানে মহাগঙ্গা নদীর ওপর শতবর্ষী পুরাতন সেতুটি, শ্রীঘর মেন্দি আলীর বাড়ির নিকটের সেতুটি এবং ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের ঈদগাহের পাশের সেতুটি।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগ নাসিরনগর সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী মহাগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি হেলে পড়া ও ফাটল ধরার কারণে পাশে একটি বিকল্প সেতু নির্মাণ করে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও আরো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে, ফলে যান চলাচল প্রায় সময় ই বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবারও সংস্কার করা হলেও সেতুটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে।
পথচারী, ট্রাক ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার, সিএনজি চালক ও অটোচালকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সেতুগুলোর এমন অবস্থায় যে আমরা সবসময় আতংকিত থাকি এবং আমাদের ও যাত্রীদের ভয় আর দুর্ভোগের শেষ নেই। যে কোনো সময় বড় ধরনের যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।