জাবি প্রতিনিধিঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (JUDO) এর উদ্যোগে নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালার আয়োজন শুরু হচ্ছে আজ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির প্রকাশিত একটি প্রেস রিলিজের বরাতে জানা যায় 'শব্দ হোক প্রতিরোধের হাতিয়ার' স্লোগানকে সামনে রেখে আজ (২৮ অক্টোবর) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ব্যাচ ৫৪তম আবর্তনের নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা। এ আয়োজনে আরও থাকছে পাবলিক স্পিকিং, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিতর্ক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।
কর্মশালার শুরুতে নবীন বিতর্ক কর্মশালায় অতিথি হিসেবে থাকবেন অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ এবং উপস্থাপক ও আইনজীবী মানজুর আল মতিনসহ জেইউডিও'র দেশবরেণ্য বিতার্কিক ও সংগঠকবৃন্দ। ১৪ নভেম্বর বাংলা এশিয়ান সংসদীয় বিতর্ক, ১৫ নভেম্বর ইংরেজী-ব্রিটিশ সংসদীয় বিতর্ক এবং ১৬ নভেম্বর সেলিম আল দ্বীন মুক্তমঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মির্জা সাকি বলেন, জুডো প্রতিষ্ঠার দুই দশক ধরে নিয়মিত এবং ধারাবাহিকভাবে নবীনবরণ এবং বিতর্ক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে জুডো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের চর্চা এবং একই সাথে যুক্তিবাদী একটি সমাজ তৈরির প্রয়াসে কাজ করছে। এই নবীনবরণের আমাদের স্লোগানটি হচ্ছে: 'শব্দ হোক প্রতিরোধের পতাকা'। এই স্লোগানকে ধারণ করে জেইউডিও-এর নবীনবরণে অংশগ্রহণ করছে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী। সেখানে থাকছে বিতর্ক বিষয়ক কর্মশালা, ক্যারিয়ার বিষয়ক সেশন এবং বিতর্ককে কিভাবে সামাজিক আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সমাজের পরিবর্তন করা যায়, এ বিষয়ক আলোচনা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশবরেণ্য উপস্থাপিকা, বিতার্কিক, আইনজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ।
সাধারণ সম্পাদক ফারিম আহসান বলেন, আমরা প্রতি বছর আমাদের ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য নবীন বরণ আয়োজন করে থাকি। জেউডিও সেই সংগঠন, যারা ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীরা আসার প্রথম দিন থেকেই তাদের রুম মুভমেন্ট করা থেকে শুরু করে, ক্যাম্পাসের প্রথম সংগঠন হিসেবে তাদের নবীন বরণ দেওয়ার চেষ্টা করে। জেউডিও বিশ্বাস করে, বিতর্ক এমন একটি শিল্প, যার মাধ্যমে সমাজে বিনির্মাণ করা যায় এবং সেই শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য জেউডিওর এই আয়োজন।এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলাও করে থাকি। এর পাশাপাশি, বিতর্ক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। তাই, বিতর্কের সেই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগটি আসলে সেরা, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য বিভাগ নিয়ে আমরা যেমন বাংলা বিতর্কের আয়োজন করি, তেমনি ইংরেজি বিতর্কেরও আয়োজন করে থাকি।আমাদের এ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের যেমন বিতর্কের আলোয় আলোকিত করতে পারব, তেমনি একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোকে পড়াশোনার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় আলোকিত করতে পারব।