মোহাম্মদ সাজিদুল ইসলাম, কুয়েট প্রতিনিধিঃ
দেশব্যাপী মুসলিম নারীদের ধর্ষণ, আলেমদের গুম ও হত্যাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন)-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ফুলবাড়ীগেট প্রদক্ষিণ করে এবং পরে ছাত্র কল্যাণ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ইসকন একটি জঙ্গি ও ফ্যাসিবাদী সংগঠনের মতো কাজ করছে এবং দেশজুড়ে মুসলিম নারীদের পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে ধর্ষণ, আলেমদের গুম ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের দাবি, এই সংগঠনটি ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদ ও ফ্যাসিবাদী এজেন্ডাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “ইসকন তুই জঙ্গি ফ্যাসিবাদের সঙ্গী”, “হটাও ইসকন, বাঁচাও দেশ” এবং “তুমিও জানো, আমিও জানি— ইসকন মানেই সন্ত্রাসী” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যের সমর্থনে বেশ কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন। তারা বলেন, ইসকনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় চট্টগ্রামের সরকারি আইনজীবী আলিফ আদালত প্রাঙ্গণে নিহত হন। এছাড়া গাজীপুরের এক ইমামকে ইসকনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির অভিযোগে গুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তারা আরও দাবি করেন, গত এক মাসে ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততায় বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা টেনে শিক্ষার্থীরা বুয়েটের ভাইরাল হওয়া ইসকন সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত শ্রীশান্ত রায়ের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এটি প্রমাণ করে সংগঠনটি উগ্রবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও মুসলিম নির্যাতনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বিক্ষোভকারীরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “দেশের স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইসকনকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অবিলম্বে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা জরুরি।”