আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে স্হানীয় লোকজনের সামনে বজলু মিয়া নামের এক মেম্বার কর্তৃক লাঠি দিয়ে (আগাত )পিটানো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর )রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাঠিপেটার শিকার গৃহবধূ হলেন একই গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী। পরে ওই গৃহবধূকে গ্রামবাসির সিদ্ধান্তে পার্শ্ববর্তী ৮ নং ওয়াডের তারাপুষ্করুণী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র এবং ভিডিও থেকে জানা গেছে, (১৯ অক্টোবর )ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে স্হানীয় লেংড়া মাকেটের ডিস (ক্যাবল ) ব্যবসায়ী ৮নং ওয়াডের তারাপুস্করনী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে বিল্লাল মিয়া অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে গোপালনগর গ্রামের স্হানীয় লোকজন বজলু মেম্বারের নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে। ভিডিওতে দেখা যায়, ফজলু মেম্বার ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে লাঠিপেটা করছে। উপস্থিতি লোকজন মারার দৃশ্য তাকিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ড বজলু মেম্বার জানান এই মহিলা আমার ভাতিজার স্ত্রী। এর পরকীয়ার সম্পর্ক অনেকদিনের। গত বৃহস্পতিবার৷( ১৭ অক্টেবর) রাত ২ ঘটিকার সময় গ্রামবাসী তাদের দুইজনকে আটক করে আমারে খবর দেয়। এক ঘন্টা পরে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এ সময় উভয়কে উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়। পরের দিন শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে অভিযুক্ত বিল্লালের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েচে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনের মোবাইলে তার বক্তব্য জন্য কয়েকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিল্লাল এর আগে বিবাহিত ছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী ও চারটি মেয়ে রয়েছে। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী।
মঙ্গলবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ভিডিওটি নজরে এসেছে এবং এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ কাজ করছে।