আনোয়ারুল ইসলাম রনি, রংপুর প্রতিনিধিঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরের হোটেল তিলোত্তমায় অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভার পর গণসংযোগে বলেন, দেশে সকল রাজনৈতিক দল ‘জুলাই সনদে’র আইনগত ভিত্তি চেয়েছে; তবে বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
বিএনপি সহ কিছু দলের কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকায় সত্ত্বেও তারা সনদে সাক্ষর করেছে — কিন্তু দলগুলোর দায়সারা স্বাক্ষরেই ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে।
সারজিস আলম বলেন, “যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন না করে এবং ‘জুলাই আন্দোলন’ ও গণহত্যার বিচার না করে একপক্ষীয়ভাবে নির্বাচনের দিকে এগোতে চায়, তাহলে তাদের প্রথমে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সামনে স্পষ্ট হওয়া লাগবে। এতে কোনো রাজনৈতিক দল লাগবে না। যেভাবে শেখ হাসিনা সরকারকে ছাত্রজনতা ছাড়া পতন ঘটিয়েছে, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও রাজনৈতিক দল ছাড়া জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার মোকাবিলা করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গতকালে সিরিজ আকারে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, যা তিনি একটি “কলকাঠি নাড়া” চক্রান্তের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সারজিস আলম দাবি করেন যে এগুলো স্বাভাবিকভাবে ঘটার মতো নয় এবং কিছু ফ্যাসিস্ট ব্যক্তিরা অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দৃঢ় তদারকি ও কড়া দমন কার্যক্রম দ্রুত গ্রহণের আহ্বান জানান — “এতে আগামী নির্বাচনে মানুষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আস্থা পাবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নামে কিংবা নৌকা মার্কায় আর কোনো রাজনীতি এ দেশে থাকবে না।”
নাগরিক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের মুক্তি এনে দিতে ‘জুলাই আন্দোলনে’ সামনের সারিতে থাকা দলটি এনসিপি। তাই ‘জুলাই আকাঙ্ক্ষা’ যতদিন মানুষের মনের মাঝে থাকবে, এনসিপির রাজনীতি ততদিন প্রাসঙ্গিক থাকবে। পাশাপাশি এনসিপি শাপলা প্রতীক না পেলে সড়কেই সিদ্ধান্ত নেবে—তবে আইনজ্ঞ বলেন নির্বাচন কমিশনের কোনো আইনগত বাধা নেই। এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে অনড় এবং এ প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে, জানিয়েছেন তিনি।