কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চৌদ্দগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ফ্যাকাল্টির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
'নতুন স্বপ্নের আহ্বান, প্রিয় স্মৃতির বিদায়'-এই স্লোগানকে ধারণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার মো. মোশাররফ হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল করীম চৌধুরীসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছি। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আনন্দিত হলেও কিছুটা হতাশাও আছে। কারণ, চৌদ্দগ্রামের বেশ কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষক দাওয়াত পেয়েও উপস্থিত হননি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিতাম। কিন্তু, পরে দলীয়করণের কারণে কিছুটা দূরে সরে যাই। এ ধরনের সামাজিক ও সাংগঠনিক প্ল্যাটফর্মগুলো যেন রাজনীতির প্রভাবমুক্ত থাকে। চৌদ্দগ্রাম সবসময় মেধা, নেতৃত্ব ও ঐক্যের প্রতীক। চৌদ্দগ্রাম এসোসিয়েশনকে অরাজনৈতিক ও ঐক্যবদ্ধ রাখবেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও যে-কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করবো।'
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল করীম চৌধুরী বলেন, 'আজকে আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান এখানে আমি বিদায় অনুষ্ঠান বলবো না। কারণ, তোমরা সবসময় আমাদের কাছে নতুনের মত। এই সংগঠনটা আমার কাছে প্রাণের সংগঠন। কারণ, আমার বাড়িও চৌদ্দগ্রাম আর চৌদ্দগ্রামের সন্তানদের নিয়েই এই সংগঠনটি গঠিত।'
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান বলেন, 'এই সংগঠনটা আমার কাছে শুধু দ্বায়িত্ব বা কাজের সম্পর্ক না, এই সংগঠনের সাথে আমার মনের মিল রয়েছে। অপরিচিত পরিবেশে এসে এই সংগঠনে আপনজনদের দেখা পেয়েছি। সংগঠনের যুক্ত স্যার এবং সিনিয়ররা আমাদের আর্থিক ও সার্বিকভাবে সবসময় সাহায্য করে এসেছেন। আমি গর্বিত আমি চৌদ্দগ্রামের সন্তান হওয়াতে।'
সভাপতি মামুনুর রাশিদ মজুমদার বলেন, 'আমাদের সংগঠন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, পারিবারিক বন্ধনে গড়ে ওঠা একটি পরিবার। যেখানে একে অপরের সাথে পরিচিত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে প্রয়োজনে সহজে সহযোগিতা করা যায়। চৌদ্দগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন সবসময় ঐক্য, সহযোগিতা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। নতুন বাংলাদেশ গঠনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য।'