আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাস শিকার প্রতিযোগিতার নামে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথদীঘির পানি আটকে রাখার কারণে মুক্তিযোদ্ধার সমাধিসহ পাঁচ গ্রামের গণকবরস্থান রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার জগন্নাথদীঘির পাড় কবরস্থান রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আদর্শগ্রাম, কেছকিমুড়া, আতাকরা, খাজুরিয়া ও নারানকরা গ্রামের নারী-পুরুষ এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। পরে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জয়নাল আবদিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহাজাহান মিয়া, রুবেল আহমেদ ও মোঃ হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোরবান আলী, তৌহিদুল ইসলাম, সালমান রশিদ, কালা মিয়া, মমতাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাদ্দাম, জালাল উদ্দিন, জয়নাল আবদীন, সুমন মিয়া, মোঃ টিপু, হোসেন মিয়া, দুলাল হোসেন, ছকিনা বেগম, আয়েশা বেগম, রহিমা বেগম, জেসমিন আকতার, সাজেদা বেগমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই জগন্নাথদীঘির পাড় গণকবরস্থানে আশ-পাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ কবরস্থ করা হচ্ছে। এছাড়াও দীঘির পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে গুচ্ছগ্রাম প্রকাশ আদর্শগ্রাম। সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি আটকে রাখায় দীঘির উত্তর পাড়ে গণকবর ও আদর্শগ্রামের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন বা দীঘির ইজারাদার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। শিগগিরই গণকবর রক্ষায় প্রশাসনের নিকট জোরদাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার জগন্নাথদীঘির ইজাদার ফখরুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে ৬ বছরের জন্য জগন্নাথদীঘি লিজ নেয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সব নিয়ম মেনেই দীঘিতে মাছ চাষ চলছে ও দীঘিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি নাই। মাছ ধরা ও চাষে আগ্রহ বাড়াতে ১০ অক্টোবর ‘বড়শি দিয়ে মাছ ধরা’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। এতে গণকবরস্থানের কোন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে না। কবরস্থানের ক্ষতি আমার আগের ইজারাদারের সময়ে হয়েছে।