ইসরাইল মঙ্গলবার গাজা নগরীতে হামাস সদস্যদের লক্ষ্য করে তাদের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত স্থল অভিযান শুরু করেছে, যা ব্যাপক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
গাজা নগরী থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাতিসংঘ এই হামলাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে এর নিন্দা করেছে।
জাতিসংঘের একটি কমিশন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘গণহত্যা’ চালানোর জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে।
এটি বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ইসরাইলের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই অপরাধের প্ররোচনা দিয়েছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী রাতের বেলায় গাজা সিটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। তাদের সৈন্যরা অঞ্চলের বৃহত্তম নগর কেন্দ্রের গভীরে প্রবেশ করে।
সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির বলেন, গত ২৪ ঘন্টা ধরে, রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার পর, আইডিএফ (সামরিক বাহিনী) গাজা নগরীতে তাদের অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এলাকার গভীরে অভিযান পরিচালনা করছি, স্থল সেনা, নির্ভুল হামলা ও উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্য একত্রিত করছি। আমাদের লক্ষ্য হল হামাসের ওপর চূড়ান্ত পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখা।’
জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইসরাইল ‘শেষ পর্যন্ত যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
একজন সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সেনাবাহিনী ধারণা করেছে, গাজা সিটির মধ্যাঞ্চলে দুই হাজার থেকে তিন হামাস সদস্য রয়েছে এবং প্রায় ৪০ শতাংশ বাসিন্দা দক্ষিণে চলে গেছে।
একজন এএফপি সাংবাদিক গাজা সিটির একটি হাসপাতালের সামনে অনেক মানুষকে ঘুমাতে দেখেছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া ইউসুফ শানা বলেন, ‘মানুষের কাছে দক্ষিণে যাওয়ার জন্য বা এমনকি অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই।’
গাজা নগরীর ওপর অবিরাম বোমা বর্ষণ চলছে। নগরীটির বেশিরভাগই প্রায় দুই বছর ধরে ইসরাইলি হামলার পরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
নগরীর উত্তরে রাতভর বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি আবাসিক ব্লকে কেবল বিশাল ধ্বংসস্তূপের স্তূপ অবশিষ্ট রয়েছে।
সূত্রঃ বাসস