নোমাইনুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সারাদেশের যোগাযোগ সহজীকরণের একমাত্র প্রধান সড়কটি হলো মারিশ্যা–দীঘিনালা সড়ক।
প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি বছরের পর বছর সংস্কার ও সম্প্রসারণের অভাবে চলাচলে মারাত্মক দূরভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। সরু, ভাঙাচোরা ও ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ও যানবাহন চলাচল করলেও ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। ফলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে এই সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জোর দাবি জানিয়ে আসছে।
সড়কটির বহু অংশে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের কারনে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে যায়। সরু রাস্তার কারণে একসাথে দুটি গাড়ি নিরাপদে চলাচল করতে পারে না, ফলে প্রায়ই সময় যানচলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী যানবাহনকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত কলা, আনারস, আদা, হলুদ, ও বিভিন্ন শাকসবজি সময়মতো বাজারে নিতে না পারায় অনেক সময় পচে যায়। এতে কৃষকরা লোকসানের শিকার হন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত দীঘিনালা বা খাগড়াছড়ি যেতে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বাঘাইছড়িতে উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থা না থাকায় রুগীকে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম নিতে হয়, যার ফলে জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও রোগী বহনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর, সাজেক, মারিশ্যা, রূপকারী, সারোয়াতলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, মারিশ্যা–দীঘিনালা সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কার এখন সময়ের দাবি। উন্নত সড়ক হলে শুধু যাতায়াত সহজ হবে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতের ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এটি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
স্থানীয়রা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ ও কাজ শুরু করার জোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এ সড়ক সম্প্রসারণ হলে দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে সময় ও খরচ উভয়ই কমবে।