ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভেঙে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। আচরণবিধি ভেঙে কেন্দ্রর কাছে ভোটের প্রচারণা চালানোর অভিযোগও উঠেছে দলটির কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে ছাত্রদল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নাছির বলেন, ‘শিবিরের প্যানেল থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন কিন্তু নির্বাচনের আচরণবিধি বিষয়ে তাদের ন্যূনতম জ্ঞান না পেয়েও তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন, এটি আমাদেরকে হতাশাগ্রস্ত করেছে। অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষকরা কেন আচরণবিধি পড়বেন না, এটি আমাদের কোনোভাবে বোধগম্য নয়। শিবিরের প্যানেলের যারা প্রার্থী বিশেষ করে ভিপি প্রার্থী এবং জিএস প্রার্থী তারা যে ভাষায় কথা বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষক ঠিক একই ভাষায় কথা বলছেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’
শিবিরের অভিযোগ অস্বীকার করে নাছির বলেন, ‘শিবিরের পক্ষ থেকে আজকে অভিযোগ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।
১০০ মিটারের মধ্যে আমরা যে প্যানেল সিটগুলো বিতরণ করছি, তারা এটি নিয়ে অভিযোগ করেছে। আপনারা দেখেন, আমরা এর আগেও দেখিয়েছি যে, গত কয়েকদিন ধরে গুপ্তভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেটে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এই গোপন প্যানেলটি তারা কিন্তু দিচ্ছেন। আমাদের পক্ষে থেকে তো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আমরা তাদের অভিযোগের বিপরীতে এটি দিয়েছি।
সুতরাং আমরা মনে করি, যেহেতু এখানে অনেকগুলো ভোট দিতে হবে, শিক্ষার্থীরা হয়তো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সংখ্যা ভুলে যেতে পারে। সেজন্য আমরা মনে করি এটি শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্যানেল বা তারা যেকোনো প্যানেল দিতে পারে। এটি আচরণবিধির কোনো লঙ্ঘন হবে না বলে আমরা মনে করি।’
ছাত্রদলের সহায়তা কেন্দ্র নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে জানিয়ে নাছির বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরে আমাদের সহায়তাকেন্দ্র আমরা স্থাপন করেছি। সেটা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে।
আমরা আবারও বলছি যে, যেকোনো প্রার্থী যেকোনো ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন যেটি আচরণবিধির ১২-এর খ ধারায় স্পষ্টভাবে লিখা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষকরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আচরণবিধি না পড়ে তারা ভোটের যাবতীয় বিষয় পরিচালনা করছে।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে নাছির বলেন, ‘আমরা সে সব গণমাধ্যমের কর্মীদেরকেও অনুরোধ করব যে, আপনারা আচরণবিধি পড়ে যদি সংবাদ পরিবেশন করেন তাহলে অন্তত কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সবার প্রতি ইনসাফ কায়েম হবে।’