নাজমুল হাসান,মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ১৬নং ধামঘর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড মধ্যপাড়া এলাকার একজন গ্রাম পুলিশের বাড়ির জায়গা একই এলাকার পাশের বাড়ির শাহআলম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক মারধর করে দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাড়ির জায়গা দখলের বিষয়ে ভুক্তভোগী গত ২৯শে আগষ্ট (শুক্রবার) মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধামঘর গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে হারুন মিয়ার কাছ থেকে ৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন একই গ্রামের চৌকিদার হোসেন মিয়া। চৌকিদার হোসেন মিয়া তার পৈত্রিক ০৫ শতাংশ নিয়ে ক্রয়কৃত ০৫ শতাংশ সহ মোট একই সাথে ১০ শতাংশ মালিক হন। কিন্তু চৌকিদার হোসেন মিয়া ও পাশের বাড়ির শাহআলম মিয়ার জায়গার পাশাপাশি দাগ নম্বর হওয়ায় মোট ১৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের দন্ড হয়। বিভিন্ন সময় ৮ শতাংশের মালিক শাহআলম ১০ শতাংশের মালিক চৌকিদার হোসেন মিয়ার কাছ থেকে জায়গা পাবে বলে দাবি করে। একপর্যায়ে শাহআলম মিয়া আদালতে মামলা করেন। একই এলাকার শাহআলম সহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে চৌকিদার হোসেন মিয়ার স্বত্ব দখলীয় বসতবাড়ীর জায়গা দখল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। ভুক্তভোগী এবং গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে বিবাদীয় জমি দখল করা সম্ভব হয়নি।
মামলা চলাকালীন সময়ে এলাকাবাসী মিলে বৈঠকের আয়োজন করে। সেই বৈঠকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ১৮ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১০ শতাংশ হোসেন মিয়া আর ৮ শতাংশ জায়গা পাবে শাহআলম। উভয়পাক্ষ এই গ্রাম্য সালিশের রায় মানিয়া সম্মতি প্রকাশ করে বৈঠক শেষ করেন।
মামলার বাদী ইয়াসমিন জানান, শাহ আলম মিয়া আমাদের বাড়ির পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এই জায়গা নিয়ে একাধিকবার বিরোধ হওয়ার পর গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে তার সমাধান হওয়ার চেষ্টা করেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সালিশ বৈঠকের রায় মানিয়া গত শুক্রবার আমরা আমাদের জায়গায় ঘর উঠানোর জন্য কাজ শুরু করলে শাহ আলম মিয়া পরিবারের লোকজন এসে শাহ আলমের উপস্থিতিতে তা বাধা প্রদান করে। কিন্তু শাহআলম মিয়া তা পরবর্তীতে অমান্য করে প্রতিনিয়ত এই জায়গা দখল করতে আসলে, আমার জেঠা, জেঠী, ভাই, বোনদের উপর বড় ছুরি,রামদা, কোঁচ, লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলা করে শাহআলমের লোকজন। এতে আমি সহ আমার পরিবারের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহতরা হলেন, আখি আক্তার (১৮) পিতা- মোহাম্মদ আলী, পিয়ারা বেগম (৪৫), স্বামী- মোহাম্মদ আলী, ফিরোজা বেগম (৫০), স্বামী- মো: হোসেন মিয়া, তাসলিমা (২৫), স্বামী- আক্তার মিয়া। হামলাকারীরা হলেন, শাহআলম (৪৫), বিল্লাল ওরফে বিল্লু (৫০), আলমগীর (৩৫), গেলাম মোস্তফা ওরফে মশু (৩২), করিম (৫৫), রহিম (৬০), সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন। সবাই ১নং ওয়ার্ড মধ্যপাড়া ১৬নং ধামঘর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সাদেক হোসেন জানান, চৌকিদার হোসেন মিয়া ও শাহআলম মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন জায়গা নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিলো। আদালতের মামলা হলে বলা হয় যে, ১৮ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১০ শতাংশ জায়গা আদালতে রায়ে যে মালিক হবে সেই এই ১০ শতাংশ জায়গা ভোগদখল করতে পারবে। বর্তমানে এখন যে যে জায়গায় আছে তা নিজ জায়গায় ঘর তোলার জন্য গ্রাম্য সালিশও রায় দিলে উভয়ই সম্মতি প্রকাশ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শাহ আলম মিয়ার পরিবার তা অমান্য করে জোরপূর্বক অসহায় চৌকিদার হোসেন মিয়ার জায়গা দখলের চেষ্টা করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে আহত করে।
ভুক্তভোগীর চৌকিদার হোসেন মিয়ার পরিবার ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।