নোমাইনুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বাঘাইছড়িতে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
রোববার (১৭ আগস্ট ২০২৫) রাঙ্গামাটিতে আয়োজন রেস্তোরাঁয় সকাল সাড়ে ১০ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাঘাইছড়ি উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে রাংগামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত উল্লাহ লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ আল আমিন, মোঃ আলমগীর।
অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত উল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা গত ০৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখ মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে দরখাস্ত দিয়েছি এবং বিগত ২৫/০৬/২০২৫ ইং তারিখ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাংগামাটির সাথে যোগাযোগ করেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা দুইজন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি আমাদের দাবিকে খুবই যৌক্তিক দাবি মনে করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আমাদের কাছে পরিলক্ষিত হয় নি।
বক্তব্যে আরো বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা রাঙামাটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্গম উপজেলা। এখানে বিস্তৃত জনবসতি, বাজার, পাহাড়ি গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার যোগাযোগ করিলেও এখনো এখানে কোনো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন করা হয় নাই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক গত ২১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বাঘাইছড়ি মসলিম ব্লক বাজারে অগ্নীকান্ড হয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় এবং বিগত ২১/০৭/২০২২ ইং তারিখ বৃহত্তর দুরছড়ি বাজারে কয়েকবার ও বাঘাইহাট বাজার সহ বাঘাইছড়ির আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে, কিন্তু যথাসময়ে অগ্নীনির্বাপন ব্যবস্থা জনিত সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়নি
দাবিসমূহ:
১. অবিলম্বে বাঘাইছড়ি উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন।
২. দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় দক্ষ জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সরবরাহ।
৩. স্থানীয় জনগণের জন্য নিয়মিত ফায়ার সার্ভিস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে বাঘাইছড়ির মানুষের জানমাল সুরক্ষিত থাকে।