রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
সাকিব হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত আলগী গ্রাম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামে নদীর তীরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) পটুয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য সরোয়ার শিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান তালুকদার, স্থানীয় বাসিন্দা জাকির বিশ্বাস, মো. সুমন হাওলাদার, প্রেসক্লাব দুমকির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ও মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বক্তারা অভিযোগ করেন, লেবুখালী থেকে আলগী পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের আতঙ্কে পরিবারগুলো মালপত্র তুলে সরকারি সড়কে আশ্রয় নিচ্ছেন। নারীদের কাঁধে শিশু, পুরুষদের হাতে ভাঙা ঘরের আসবাব—এভাবেই জীবন বাঁচাতে ছুটছেন সবাই। ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
গ্রামবাসীরা জানান, গত পাঁচ-ছয় বছরে অন্তত দুই শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি, ফসলি জমি, বাগান, করবস্থান, মসজিদ-মন্দির হারিয়েছেন। তবু তেমন কোনো সহায়তা পাননি তারা। জনপ্রতিনিধিরাও খোঁজ নেননি। কেউ কেউ বাঁধের পাশে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, কেউবা পরিবার নিয়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন।
পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “আলগী গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যেটুকু অবশিষ্ট ছিল সেটুকুও ভাঙতে শুরু করেছে।” তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, পায়রা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশাবাদী—খুব শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩