মোঃ হাসান হাওলাদার, রামগতি (লক্ষীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের উত্তর বালুর চর সুজন গ্রামে অবস্থিত চর আব্দুল্লাহ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ,ন,ম আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তিনি এই মাদ্রাসার দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে থাকার কারণে একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা ও নানা অনিয়ম এবং বিভিন্ন ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ৭০ লাখ টাকার লুপাটের অভিযোগ ওঠে।
বিভিন্নস্থানে জানা যায়, আ,ন,ম আব্দুল হাকিম মনগড়াভাবে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তাদেরকে বিভিন্ন সময় মিটিংয়ে কোনো শিক্ষক তার মতের বিপরীতে গেলে বা কোনো কথা বললে তাকে মিটিং শেষে নিজের রুমে একলা ডেকে নিয়ে ধমক দেন এবং তাকে মারাত্মকভাবে হয়রানি করেন।
শিক্ষকদের বেতন স্কেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দিতে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেন এবং এসব কাজের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেন। মাদ্রাসায় জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এবং মাদ্রাসার আয় থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে তাদের নাম, পদবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সংশোধনের কথা বলে দুইবারে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন, কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো কাজই তিনি করেননি। মিনিস্ট্রি অডিটের সময় শিক্ষকদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাদ্রাসার টাকায় কেনা বিভিন্ন আসবাবপত্র নিজের বাসায় নিয়ে যান।
এইসব বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেন,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তন করে নিজের নাম ব্যবহার করেছে।প্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যায়ের হিসাব দিতে পারেনা।তিনি বিভিন্ন ভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করেন।এবং বিভিন্ন ভাবে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতি থাকেন।নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গভর্নিং বডি নির্বাচন করেন।শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষক নিয়োগে ভানিজ্য করেন।এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ভাবদ ৫/৭ হাজার টাকা নেন। এই ছাড়া ও আরো অগণিত অভিযোগ এই অধ্যক্ষ আ,ন,ম আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে রয়েছে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ১৮ দফা দাবি মানতে হবে, তাদের ৭০ লাখ টাকার হিসাব দিতে হবে।সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের হার কমাতে হবে। ও শিক্ষার্থীদের মার্কসীট ভাবদ ফ্রি নেওয়া যাবেনা।সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সাথে সম্পর্ক রাখা যাবেনা,সহ ১৮টি দাবি মানে মাদ্রাসা আসতে হবে।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে মাদ্রাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে সংযোগ কেটে দেন।