আমির ফয়সাল, জাবি প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ছাত্রসংসদের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
লোকপ্রশাসন বিভাগ শিক্ষার্থী সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মাহ্ আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শাহিন রানা বলেন,“আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি - লোক-প্রশাসন বিভাগকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে আমাদের কারিকুলামের ৫০ শতাংশ মিল রয়েছে। সারা বিশ্ব যেখানে মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিক্ষাব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে, সেখানে আমাদের সুযোগ সীমিত রাখা উন্নয়নের পথে বাধা।”
এছাড়াও তিনি এ বৈষম্য দ্রুত দূর করে লোক-প্রশাসন বিভাগকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পিএসসির প্রতি দাবি জানান।
লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী কামরুন নাহার নাছরিন বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এডমিনিস্ট্রেটিভ উইং থেকেই লোক-প্রশাসনের উৎপত্তি। পাঠ্যসূচি, কোর্স এবং বিষয়বস্তু প্রায় অভিন্ন। যদি অন্যান্য বিভাগ ক্যাডারভিত্তিক দাবি করে তাহলে আমরাও প্রশাসনিক ক্যাডারের দাবি করতে পারি। তবে সর্বোত্তম সমাধান হবে—আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও লোক-প্রশাসন বিভাগকে একীভূত করে একটি একক ক্যাডার তৈরি করা।”
বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, “লোক-প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উভয়ই সমৃদ্ধ বিভাগ। এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কোনো অংশে কম যোগ্য নন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পেলে আরও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা সহজ হবে এবং ডাইভার্সিফাইড শিক্ষা পরিবেশ সৃষ্টি হবে।”
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হরে কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, “পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দেশে স্বীকৃত একটি স্বনামধন্য বিভাগ। অনেক বিভাগ শিক্ষা ক্যাডারের সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু লোক-প্রশাসন পাচ্ছে না - এটি বৈষম্য। আপাতত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঙ্গে একীভূত করা যেতে পারে, তবে ভবিষ্যতে লোক-প্রশাসনের জন্য কলেজ পর্যায়ে আলাদা শিক্ষা ক্যাডার চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।”
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, পিএসসি দ্রুত এই দাবি বাস্তবায়ন করে লোক-প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করবে।