রাজধানীর শাহবাগে আজ (৩ আগস্ট) ২.৩০ ঘটিকার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করছেন, সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী এতে যোগ দেবেন। আজ বেলা আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রদলের সমাবেশ শুরু হবে। গতকাল (২ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই সমাবেশ স্থলে হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন লন্ডন থেকে দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ও সাবেক ছাত্রনেতারা।
সমাবেশের কারণে জনদুর্ভোগের আশঙ্কায় আগেই দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। একইসঙ্গে ব্যানার-ফেস্টুন, ব্যক্তিগত শোডাউন এড়িয়ে চলাসহ কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদ।
সমাবেশ সফল করতে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের রাজধানীতে আসার নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি। আয়োজকরা জানান, এতে তুলে ধরা হবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।
সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছরের এই দিনটি (৩ আগস্ট) আমাদের কাছে স্মরণীয়। এই দিনে হাসিনার পদত্যাগে একদফার ডাক আসে। এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হবে।
সমাবেশ সফল করতে গত বুধবার ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে নানান দিকনির্দেশনা দেন তিনি। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন। এসব বৈঠকে সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য ২৫৪ জনের সমন্বয়ে ৯০টি টিম গঠন করা হয়।
এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে ২০ বগির বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে ছাত্রদল। আজ সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর সোয়া ১টায় এবং সন্ধ্যা ৭টায় ফিরে যাবে চট্টগ্রামে।
এ ছাড়া জেলা ও ইউনিট পর্যায়েও প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে ছাত্রদল। সংগঠনটি দাবি করে, তারা দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সফলতা দেখিয়েছে সংগঠনটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ও ত্যাগ অসীম। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই কর্মসূচিতে অসামান্য অবদান রেখেছে ছাত্রদল। গুম খুন হামলা মামলাসহ নির্যাতন ও নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে এই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের।