আবু তাহের, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের তৃতীয় তলায় এই কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ফিতা কেটে ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “সকল ধরণের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা তাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছে। আমার বিশ্বাস, ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ তারই একটি স্থায়ী নিদর্শন। আমি আরও বিশ্বাস করি, এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, এই কর্ণার উদ্বোধনের মাধ্যমে তা স্থায়ী রূপ নিতে ভূমিকা রাখবে। জুলাই-আগস্টে যে আত্মত্যাগের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, তা বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও অনাগত প্রজন্মের গবেষণার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসে পরিণত হবে।”
উপাচার্য আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মতো জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানও একই স্পিরিটে স্মরণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে যেন আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উদ্ভব না ঘটে, সে জন্য সকলের প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানাই।”
উদ্বোধন শেষে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. আব্দুল হাকীম। এরপর অতিথিবৃন্দ ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ ঘুরে দেখেন।
‘জুলাই ৩৬ কর্ণারে’ জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিভিন্ন আলোকচিত্র, পত্রিকার কাটিং, গ্রন্থ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রদর্শিত হচ্ছে। সবশেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের আশপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মো. অলি উল্লাহ, গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আজিজুর রহমান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।