কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও তদন্তে নেই অগ্রগতি। এখনো জানা যায়নি সেই ভয়াল রাতের ঘটনা। সেদিন কি ঘটেছিল জোবায়ের আমিনের সাথে! সেই রাতে জোবায়ের সাথে ছিল তার দুই সহপাঠী, রাতে ঘুরতে বের হলেও আর ফেরা হয়নি বাড়িতে। তবে পরিবারের দাবি জোবায়ের আমিন কে ডেকে নিয়ে মেরে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এনিয়ে সেই সময় চিলমারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে সেই রাতে সাথে থাকা দুই জনসহ ছয়-সাত জন।
দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও নথিভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ প্রশাসন। ছেলের হত্যার বিচারের দাবী ও আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে।
এনিয়ে রবিবার (২০জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একবছরের একটি হত্যা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয় না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার না করা হলে আন্দোলন আরও কঠোরভাবে করার হুশিয়ারি দেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপর আস্তা হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বর্তমানে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরে তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।