সাকিব হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। এ হত্যাকাণ্ডের পরদিনই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অভিযুক্তের পরিবারের চারটি বসতঘরে আগুন দিয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ধলু ফকির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ অভিযুক্ত শাকিল মীরের পরিবারের চার সদস্য—দাদা কাসেম মীর, বাবা রশিদ মীর, চাচা সানু মীর ও জসিম মীরের বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের অনেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তীব্রতার কারণে ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে ধলু ফকির বাজার এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত শাকিল মীর ওই সময় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেন বয়াতীকেও ছুরিকাঘাত করেন। তিনি বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, খুনের ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। বসতঘরে অগ্নিসংযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।