আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ট্রাক হোটেল গুলোতে মাদকের ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্দ্বার করা হয়। এবং চারজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসারের ৪টি বাইক ও ১টি ভাড়া করা ট্রাক নিয়ে মোট ৫টি দলে (প্রতি দলে ২/৩জন) ভাগ হয়ে মাদকদ্রব্যের ক্রেতা সেজে শনিবার (২৮ জুন) রাত ৯ ঘটিকা থেকে রাত ২ ঘটিকা পর্যন্ত মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ঘোলপাশা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও ইউএনও'র নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ইউএনও কর্তৃক গঠিত ক্রেতা দল কয়েকটি হোটেল থেকে প্রথমে কিছু টাকার মাদকদ্রব্য ক্রয় করেন।
এরপর অভিযান চালিয়ে ৯১ পুরিয়া গাঁজা এবং ৩৮ পিস ইয়াবা ও সেবনের সরঞ্জামসহ ৪জনকে আটক করা হয়। এসময় হোটেল মালিক ও ম্যানেজাররা পালিয়ে যায়।
বাবুর্চি বাজারের জমজম হোটেল থেকে আটক করা ৪জন আসামীকে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিল ভুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রত্যককে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০টাকা করে অর্থদণ্ডসহ উভয় দণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
আটককৃত মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং সেগুলো পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতে ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।হাইওয়ে হোটেলে মাদকের ক্রেতা সেজে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান।
এলাকাবাসী জানান এর আগে জমজম হোটেলের মালিককে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে পুরো সমাজকে এই মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’