মোঃ রিফাত আহমেদ, ঢাকা:
২১ জুন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) থেকে ২৬ জন শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে রাজধানীর নতুনবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “অপ্রত্যাশিত খারাপ ফলাফল”-এর অজুহাতে তাদের বিরুদ্ধে এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার পেছনে নেই কোনো সুষ্ঠু তদন্ত, শুনানি কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ।
বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থী জানায়,
"আমাদের মধ্যে অনেকেই থিসিস, ইন্টার্নশিপ বা ফাইনাল প্রজেক্ট শেষ করার পথে ছিলাম। হঠাৎ এমন একটা সিদ্ধান্ত আমাদের পুরো ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বহিষ্কারের চিঠি চলে আসে।"
অন্য একজন প্রতিবাদকারী বলেন,
"কোনো নোটিশ ছাড়া, কোনো শুনানি ছাড়া শুধু ফল খারাপ হলেই যদি বহিষ্কার করা হয়, তাহলে সেটা কি বিচারসঙ্গত? ফল খারাপ হলে তো রিটেক, রিভিউ, একাডেমিক কাউন্সেলিং এসব থাকার কথা, বহিষ্কার তো না।"
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, UIU কর্তৃপক্ষের আচরণ ছিল একতরফা ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের মতে, এটা শুধু ব্যক্তি বহিষ্কার নয়—এটা শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করার একটি বড় উদাহরণ।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন,
"আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করতে আসিনি। আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা চাই, প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করুক, আমাদের বক্তব্য শোনুক এবং অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক।"
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা নতুনবাজার মোড়ে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখা যায় সতর্ক অবস্থানে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তারা এই আন্দোলন UIU-এর গণ্ডি পেরিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সংকট হিসেবেও দেখতে চান।
"এটা শুধু UIU-এর বিষয় নয়। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে প্রশাসনের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আর স্বচ্ছতার অভাব দিন দিন বাড়ছে। আমরা চাই পরিবর্তন।"
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, UIU শিক্ষার্থীদের এই অবস্থানে সংহতি জানিয়ে এসিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের একাধিক শিক্ষার্থী এসে যোগ দিয়েছেন। আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।