আমির ফয়সাল, জাবি প্রতিনিধিঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলের পুনঃনামকরণে ‘জাতীয় ইতিহাস, আত্মত্যাগ ও ছাত্র-জনতার সংগ্রামের স্মৃতি অম্লান রাখতে’ আন্দোলনকারী শহীদদের নামে নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রস্তাবনা আহ্বানের প্রেক্ষিতে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব এবং সেক্রেটারি মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
প্রস্তাবিত নামগুলো হলো যথাক্রমে— ১০ নং (ছাত্র) হলের নাম ‘শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক হল’, ২১ নং (ছাত্র) হলের নাম ‘শহীদ শ্রাবণ গাজী হল’ অথবা ‘শহীদ আসহাবুল ইয়ামিন হল’, ১৩ নং (ছাত্রী) হলের নাম ‘শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়া হল’, এবং ১৫ নং (ছাত্রী) হলের নাম ‘শহীদ ফেলানি খাতুন হল’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শিবিরের ভাষ্য অনুযায়ী, শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক প্রজ্ঞাবান ও আপসহীন রাজনীতিক, যিনি বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে কৃষক-শ্রমজীবী মানুষের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। অন্যদিকে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে সাভারে শহীদ হন সফটওয়্যার শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজী, MIST-এর শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাফিসা হোসেন মারওয়া। তাঁদের আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মাইলফলক হয়ে আছে। আর ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে কুড়িগ্রামে সীমান্তে শহীদ হন ১৫ বছরের ফেলানি খাতুন, যিনি আজ সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক প্রতীক।