আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাতারের ভিসা দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৭ লাখ টাকা আত্মসাত করে উল্টো প্রবাসীর বীরমুক্তিযোদ্ধা পিতাসহ পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে মোহাম্মদ জাবেদ ওমর নামে আরেক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়ে বুধবার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ তাহের।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বিষবাগ গ্রামের মোঃ দুদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাবেদ ওমর(৩৫) বীরমুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আলী আশরাফ তাহেরের আপন ভাতিজা। গত তিন বছর আগে কাতারের ভিসা দেয়ার কথা বলে জাবেদ ওমর মুক্তিযোদ্ধা তাহেরের ছোট ছেলে তারেক থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা নেয়। কাতারে থাকাকালিন ওই সময় দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাতার প্রশাসন মোহাম্মদ জাবেদ ওমরকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে এক মাসের বেশি সময় জেল খেটে সে দেশে ফিরে আসে।
এরপর জাবেদ ওমর আবার ওমান চলে যায়। কিন্তু চতুর জাবেদ ওমর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে তারেকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হতো। এরই জের ধরে বেশ কয়েকবার তারেকের উপর হামলার ঘটনা ঘটায় জাবেদ ওমরসহ তার নেতৃত্বে থাকা কিশোর গ্যাং সদস্যরা। সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল মোঃ তারেক তার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মুন্সিরহাট কলেজের সামনে জাবেদ ওমরের সাথে কথা বলে।
এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে মিথ্যা ও ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে জাবেদ ওমর কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে তারেক, তাঁর পিতা মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ তাহের, আপন ভাই দুবাই প্রবাসী তুহিন, চাচাতো ভাই অটোচালক মিজানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় উল্লেখিত মোবাইল, মানিব্যাগ ও টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এরআগে গত বছরের নভেম্বর মাসেও জাবেদ ওমর তার বাবা দুদু মিয়াকে দিয়ে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই সময় শালিশ বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করে স্থানীয় শালিশদাররা। বার বার সামাজিকভাবে হেরে তারা এখন আদালতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ তাহের।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, মাস্টার ইউসুফ শরীফ, দুবাই প্রবাসী মোঃ তুহিন, মোঃ নবী হোসেন, মামুনুর রশীদ দাউদ, মোঃ জাকারিয়া, সাইমন, কাজী নাসির, কামাল হোসেন, কাজী আবু বক্কর, ইমরান হোসেন, মারুফ হোসেন, বেলাল হোসেন, মোঃ নয়ন, সিহাব, রাব্বি, রাকিব প্রমুখ।
এ ব্যাপারে মোহাম্মেদ জাবেদ ওমর বলেন, সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ সঠিক নয়। কাতারের ভিসা দেয়ার বিষয়টি কাতারেই সমাধান হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ তাহেরের ছেলেরা আমার উপর বারবার আক্রমণ করছে। সঠিক বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি।