আবু বকর সুজন,চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ ভেটেরিনারি ওষুধ পাওয়ায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পালিয়ে যায় আবুল কাশেম নামের এক ভুয়া চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার শ্রীপুর ও কাশিনগর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি জাকিয়া সরওয়ার লিমা।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রায় ১৫ দিন যাবৎ আবুল কাশেম নামে একজন ব্যক্তি চিকিৎসক সেজে দুইটি এলএসডি আক্রান্ত বাছুর চিকিৎসা করেছিলেন। এরমধ্যে একটি মারা যায় এবং অন্যটি মৃত প্রায়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবুল কাশেমকে প্রাণিসম্পদ অফিসে ডাকা হলে তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে বৃহস্পতিবার শ্রীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারস্থ রাসেল ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনার টের পেয়ে তিনি দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান।
এরপর একই বাজারের ওয়ালিদ পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের কোন ধরনের লাইসেন্স না থাকায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাশিনগর বাজারস্থ মুন্নী ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই ফার্মেসীর আব্দুল মোতালেব প্রায় ১৫ বছর এলাকায় অপচিকিৎসা দিয়ে বেড়াতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দোকানেরও কোন লাইসেন্স নেই। গাজি ভেটেরিনারি হাউজের মালিক অবৈধভাবে চিকিৎসা করার দরুন তার চিকিৎসার ব্যাগটি জব্দ করা হয় এবং মুচলেকা দিয়ে সতর্ক করা হয়। সকল লাইসেন্স করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি জাকিয়া সরওয়ার লিমা বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত প্র্যাকটিশ করলে আইনে ৩ বছরের কারাদন্ড, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে উল্লেখ করে ভুয়া চিকিৎসকদের সতর্ক করেন তিনি’।