২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনীতিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া উদ্দেশ্যে মূলক মামলার তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে সরকারি কৌঁসুলিদের।
১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে সলিসিটর বরাবর ওই মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলার তথ্য চেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের উপ-সলিসিটর সানা মো.মাহরুফ হোসাইন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপ-সলিসিটর জানান, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনীতিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে সরকারি কৌঁসুলিদের।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের বলা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে সলিসিটর বরাবর ওই মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ মামলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’
আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরি করে দেয়া ছকে ক্রম, সংশ্লিষ্ট জেলার নামসহ আদালতের নাম, মামলার নম্বর, এজাহারকারী/নালিশকারীর নাম ও পরিচয়, মোট আসামির সংখ্যা এবং এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা (যদি থাকে), এজাহার/নালিশে উল্লিখিত ঘটনার তারিখ, মামলাটি কোন আইনের কোন ধারায় দায়েরকৃত, মামলাটি কোন পর্যায়ে (তদন্তাধীন নাকি বিচারাধীন) আছে সেসব তথ্য সন্নিবেশ করতে বলা হয়েছে।
সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে বিশেষত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে এবং তৎপরবর্তীতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও অন্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা (যা অনেক ক্ষেত্রে গায়েবি মামলা নামে পরিচিত) দায়ের করা হয়। এসব মামলা সম্পর্কিত সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় আইনানুগভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় চিঠিতে উল্লিখিত ছক অনুসারে উক্ত মামলাগুলোর তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে পাওয়া একান্ত আবশ্যক।
এমতাবস্থায়,চিঠিতে উল্লিখিত ছক অনুসারে সব জেলা/মহানগরে দায়েরকৃত রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার তালিকা আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সলিসিটর, সলিসিটর অনুবিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা বরাবর অথবা solicitor@lawjusticediv.gov.bd ই-মেইল ঠিকানায় পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
আরও বলা হয়েছে, মামলার তালিকা প্রণয়নে বিশেষভাবে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়াসহ সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
উল্লেখ্য:প্রাপ্ত মামলার তালিকা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।