সাকিব হোসেন, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে চলমান এই শৈত্যপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পটুয়াখালী জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ৫০ মিটারের নিচে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৭৬ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে সকাল গড়িয়ে বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য করা যায়।
তীব্র শীত ও কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই শীতের কারণে কাজে বের হতে না পারায় দৈনন্দিন আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এসব মানুষ।
দুমকি থানাব্রিজ এলাকার দিনমজুর নাগর মোল্লা বলেন, “কুয়াশার কারণে সকালেও সূর্য দেখা যায় না। শীত এত বেশি যে কাজে বের হওয়া কষ্টকর। কাজ না থাকলে পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ে।”
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ, বিশেষ করে জরুরি বিভাগে।
অপরদিকে জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। ভোর ও সকালবেলা ঘন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া, পর্যাপ্ত গরম কাপড় ব্যবহার এবং শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।