আবু তাহের, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি অংকন ও দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া দুইদিনের কর্মসূচি শেষ হয়েছে আজ (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদীর গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। গ্রাফিতির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখেন। স্লোগানগুলোতে লেখা হয়—‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখেও কথা ক’বো’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এবং ‘Insaf for Hadi’।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওহিদুজ্জামান শাওন বলেন, শহীদ উসমান হাদী দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী ইনসাফের রাজনীতি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে খুন করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। কিন্তু হাদীকে শহীদ করে তার বিপ্লবকে থামিয়ে দিতে পারেনি। শহীদ হাদীর বিপ্লবী আদর্শ দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তরে পৌছিয়ে গেছে। হাদীর ইনসাফের রাজনীতি নজরুলের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিতেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গ্রাফিতিগুলো অঙ্কন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাতুল জানান, হাদী ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি ছিলেন সত্য, ন্যায় ও আদিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা একজন সচেতন ও বিপ্লবী মানুষ। এই হত্যার মধ্য দিয়ে শুধু একজন মানুষকেই নয়, একজন দেশপ্রেমিক কে হত্যা করা হয়েছে যে দেশের স্বার্থে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করেছে।
হাদি ভাইয়ের উপর হামলার আজ ১৫ দিন এখনো আশানুরূপ কোনো বিচার পাইনি আমরা।
আমরা অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। বিচার বিলম্বিত হওয়া মানেই ন্যায়বিচার অস্বীকার করা। হাদী ভাইয়ের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই দাবি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদী গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হলে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার সরকারের উদ্যোগে তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। দুইদিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে অবশেষে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।