শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শাহারিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি:
নিহত ব্যক্তি হলেন নুর কামাল (৩৫)। তিনি জাহাজটির একজন কর্মচারী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি জাহাজের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল প্রায় ৭টার দিকে যাত্রী ওঠানোর প্রস্তুতির সময় নোঙর করা অবস্থায় হঠাৎ করে জাহাজটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট, কোস্টগার্ড এবং প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রতিবেদন লেখার সময় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও নির্বাপণ কার্যক্রম চলমান ছিল।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন জানান, আগুনে পুড়ে এক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। জাহাজে আরও কেউ আটকা পড়েছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।
সী ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, আজ জাহাজটিতে করে ১৯৪ জন পর্যটকের সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে যাত্রীরা তখনও জাহাজে ওঠেননি, সবাই ঘাটে অপেক্ষায় ছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ধারণক্ষমতা অনুযায়ী কিছু যাত্রীকে বিকল্প জাহাজে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের আগামীকালের যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘাটে অপেক্ষমাণ এক যাত্রী মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম জানান, জাহাজে ওঠার আগেই আগুন দেখতে পান তারা। তিনি বলেন, “আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। নিজের চোখে আগুন জ্বলতে দেখা ছিল ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।”
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা অন্য কোনো কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। সরকারের নির্ধারিত ১২টি শর্ত মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক পরিবহনের অনুমতি পেয়েছে ছয়টি যাত্রীবাহী জাহাজ।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩