বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
রণবীর সরকার, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
ভোর নামলেই চারপাশ সাদা চাদরে ঢেকে যাচ্ছে। চোখের সামনে কয়েক হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এমনই ঘন কুয়াশার দাপটে শেরপুরের শ্রীবরদীতে কয়েকদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। কনকনে শীতের সঙ্গে কুয়াশা যেন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক, হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট—সবকিছুই থাকে কুয়াশার আড়ালে। ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষার্থী ও যানবাহন চালকরা। জীবিকার তাগিদে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুয়াশার মধ্যে রাস্তায় বের হচ্ছেন। হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনের পথ স্পষ্ট না হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
কুয়াশার প্রভাব পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। শীত ও দৃশ্যমানতার অভাবে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে যেতে পারছে না। অভিভাবকরাও সন্তানদের নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অপরদিকে শিশু ও বয়স্করা শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুধু জনজীবন নয়, কুয়াশায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরাও। পর্যাপ্ত রোদ না পাওয়ায় শীতকালীন সবজি ও বোরো ধানের চারার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। কৃষকদের মতে, কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকলে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় ভোরবেলায় যানবাহন চলাচলে বাড়তি সতর্কতা এবং শীত থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কুয়াশার এই দাপট কবে কাটবে—সে অপেক্ষায় শ্রীবরদীর মানুষ। সবার প্রত্যাশা, সূর্যের আলো ফিরলেই ফিরবে স্বস্তি, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে জনজীবন।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩