
মহিপুর থানার ইউসুফপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদার এক সংবাদ সম্মেলন করে ধান কাটার বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রত্যাখান করেন।
শনিবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় মহিপুর থানার ইউসুফপুর গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদার আরও বলেন, আমার চাষ করা জমির ধান আমি কেটেছি, অন্যের জমির ধান আমি কাটি নাই। তা ছাড়া যে জমির ধান আমি কেটে নিয়েছি, সে জমি নিয়ে গত ৫ বছরে কমপক্ষে দশ দফা মাপজোখ করা হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যেভাবে জমি মেপে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, সে মাপ অনুযায়ী আমি সব সময় জমি চাষ করি। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন ধান কাটার মৌসুম আসলেই এ নিয়ে একটা ঝামেলা তৈরি করে এবং তা শুধু আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যেই করে।
তিনি আরও বলেন, আবদুস ছাত্তার ও আয়শা বেগমের কাছে থেকে আমি সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আমাকে জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়ার পর, সেভাবেই আমি জমি ভোগ দখল করে আসছি। আমি কেবল আমার নিজের জমির ধানই কেটেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি সোলায়মানদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করি নাই। সুতরাং তাদের সাথে জমি বা ধান কাটা নিয়ে ঝামেলা নেই তথাপি পরিকল্পিতভাবে আমাকে অহেতুক হেয় প্রতিপন্ন, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং আমার সামাজিক মর্যাদায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত করেছে যার তীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবং স্থানীয় দুইটি গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদার।
হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদার বলেন, তাঁর ভাতিজা সোলায়মান হাওলাদার ও বিপ্লব হাওলাদারের চাষ করা জমির ধান জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে কেটে নেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সাজেদা বেগম নামের এক নারী মহিপুর থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তার ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদে কোনো সত্যতার প্রমাণ নেই।
এছাড়া আমার ভাতিজা সোলায়মানের জমির ধান আমার আগে কেটে নিয়ে গেছে। আমি সোলায়মানের ধান কেটে নেওয়ার পর আমার জমির ধান কেটেছি। এই মাপ যদি সোলায়মান না মানে তবে তাদের মাপ অনুযায়ী সোলায়মান সবার আগে ধান কেটে নিযেছে কেন? এটা আমার প্রশ্ন। এবং দিনের শেষ সময় বিকাল থেকে ধান কাটা শুরু করেছি।
অভিযোগকারী প্রকাশিত ঐ গণমাধ্যমে বলেছেন রাতের আঁধারে ধান কেটেছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক। এখানে অনেক গ্রামবাসী উপস্থিত আছেন তারা দেখেছন আমি রাতের আঁধারে কোনো ধান কাটি নাই।
এছাড়াও হাফেজ বারেক হাওলাদার বলেন, আজ পর্যন্ত আমি আমার ভাতিজাদের বা সাজেদা বেগমের নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ কোথাও দাখিল করিনি এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কোথাও স্বাক্ষী দেইনি।
এ বিষয়ে জমি বিক্রেতা সত্তার হাওলাদার বলেন, তিনি তাঁর জমি হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেছেন। ওই জমি হাফেজ বারেকই চাষ করেছেন এবং ধান কেটেছেন।
স্থানীয় এক প্রতিবেশী জানান, ধান চাষাবাদ সম্পূর্ণভাবে হাফেজ বারেক নিজেই করেছেন এবং ধান রাতের আঁধারে নয়, দিনের বেলাতেই কাটা হয়েছে। হাফেজ বারেকের বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে হাফেজ আবদুল বারেক হাওলাদার বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বরিশাল ক্রাইম ট্রেস ও আপন নিউজ বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকাশিত সংবাদের সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হানিফ হাওলাদারের সঙ্গে অভিযোগকারীদের পরিবারের জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সীমানা নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।