শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
সানজানা তালুকদার, কুবি প্রতিনিধি:
’ইন্সপায়ারিং ইউনিটি, রান ফর ভিক্টোরি’ স্লোগানকে ধারণ করে ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এ কর্মসূচিটি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে দক্ষিণ মোড় দিয়ে ম্যাজিক প্যারাডাইস ও সিসিএন রোড অতিক্রম করে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে এসে শেষ হয়৷
জানা যায়, এ কর্মসূচিতে দেড় হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে। এর মধ্যে ৭০০ এর অধিক শিক্ষার্থী তাদের উপহার গ্রহন করে এবং কর্মসূচিতে অংশ নেয়। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে কিন্তু অংশ নিতে পারে নাই তাদের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়া হবে।
ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ নুর বলেন, ‘আজকের শিবিরের এই উদ্যোগকে আমি সমর্থন করি। আজকের ‘রান উইথ শিবির’ এই প্রোগ্রাম আমাদের মননশীলতা ও মেধার বিকাশে সহায়তা করবে। এটিকে ধারণ ও সমর্থন করার জন্য আমরা ভোরে উঠে গেছি। আমরা আশাকরি সব রাজনৈতিক সংগঠনগুলো আমাদের সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করবে।’
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘আমাদের মন আজ খুব বেশি খারাপ, কারণ আমরা গতকাল দেখেছি জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী, ফ্যাসিবাদের ভীত যারা কাপিয়ে তুলেছিলো এবং জুলাই আন্দোলনের পরেও যারা থেমে নেই তাদের মধ্যে অন্যতম শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হাদি গুলিবিদ্ধ হয় নাই, গুলিবিদ্ধ হয়েছি আমরা তার হাজারো, লাখো সাথী, গুলিবিদ্ধ হয়েছে জুলাই আন্দোলন, গুলিবিদ্ধ হয়েছে সারা বাংলাদেশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি, স্বৈরাচারী শক্তি ইন্ডিয়া পালিয়ে গিয়েও তাদের কার্যক্রম থামায় নাই। এই শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য সকল ছাত্র সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। তারা খুন করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদ সাইফুল্লাকে, তারা পাহাড় থেকে ফেলে দিয়েছিলো সাইফুল ইসলাম ভুট্টোকে।’
ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক ও কুবি শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো গতকাল নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হওয়া শরীফ ওসমান হাদীর জন্য দোয়া করা। শরীফ ওসমান হাদী জুলাই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক এবং রাজপথের একজন লড়াকু সৈনিক। আমাদের দেশে বারবার দেশপ্রেমিক ও সচেতন ভাইয়েরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এর ফলে দেশ বারবার মূল পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। যাঁরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাদের বিভিন্নভাবে দমন করা হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রভাব ও হস্তক্ষেপের কারণে অনেক সময় দেশপ্রেমিক শক্তিকে সামনে এগোতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো প্রচলিত রাজনৈতিক সংগঠনের মতো নয়; বরং এটি একটি স্বতন্ত্র আদর্শভিত্তিক ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন। এই সংগঠন বিশ্বাস করে, মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, বড় ভাইয়ের আধিপত্য, হল দখল ও সকল ধরনের রযাগিংয়ের বিরুদ্ধে ইসলামী ছাত্রশিবির দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও অনৈতিক রাজনীতিমুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।’
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কতৃক আয়োজিত আজকের রান উইথ শিবির কর্মসূচিতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আমাদের আরও অনেক ভাই রেজিষ্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এত সকালে গাড়ি না পাওয়ার কারণে শহর থেকে আসতে পারছে না। আমরা তাদের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আজকের আমাদের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক-সহ যেসকল মেহমানবৃন্দ উপস্থিত আছেন সকলকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি এবং আজকের কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।’
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩