রিফাত রহমান, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)-এর রিজেন্ট বোর্ডের ৫৭তম সভা ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সেলর ও রিজেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার ও রিজেন্ট বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের (অব.) প্রফেসর ড. মোঃ জহির উদ্দীন, কীটতত্ত্ব বিভাগের (অব.) প্রফেসর ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম, ফিজিওলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নাজিম আহমাদ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস আলী সিদ্দিকী, পবিপ্রবির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আইটি বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ জামাল হোসেন, ইনোভা আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শরফুদ্দিন, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ও বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা।
সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয় এবং সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী কয়েকজন কর্মচারীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং চলমান প্রকল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পবিপ্রবির সার্বিক অগ্রগতি, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার বিস্তার নিশ্চিত করা বর্তমানে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, একাডেমিক পরিবেশ সমৃদ্ধ করা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনকে আধুনিকীকরণে বোর্ড গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকলের সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও সহজ করবে।”
সভা শেষে রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।