ফয়ছল আহমদ নুমান, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের জৈন্তাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মানবাধিকার সচেতনতা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশন-জৈন্তাপুর উপজেলা শাখা দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে।
দিনের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য রযালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনায় মানবাধিকার সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আম্বিয়া হোসাইনের সঞ্চালনায় উপস্থিত বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সংগঠনের উপদেষ্টা বাহারুল আলম বাহার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জৈন্তাপুর উপজেলা আমির গোলাম কিবরিয়া, আমিনা হেলালী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক হেলাল আহমেদ, জৈন্তাপুর বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি ময়নুল মোরসালিন রুহেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বেলাল, ইউপি সদস্য সেলিম আহমেদ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজ গঠনে মানবাধিকার রক্ষা অপরিহার্য। তারা উল্লেখ করেন, বিদ্বেষ, সহিংসতা ও বৈষম্য মানবাধিকারকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে; তাই সহনশীলতা, পারস্পরিক সম্মান ও মানবিক মূল্যবোধের ধারাকে শক্তিশালী করতে হবে পরিবার থেকে সমাজের প্রতিটি স্তরে। নতুন প্রজন্মকে মানবাধিকার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো-দু’টিকেই তারা সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি হোসেন আহমেদ, সদস্য সুহেল আহমেদ, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিনু রানী দেব, সাহেদ আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রউফ, আসহার উদ্দিন তুহিন, মকসুদুল আম্বিয়া, সাইদুল আলমসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে মানবাধিকার সুরক্ষায় মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম জোরদার করা, সমাজে ইতিবাচক মূল্যবোধের প্রচার বৃদ্ধি এবং বৈষম্যহীন মানবিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সমন্বিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
শেষাংশে আয়োজকরা বলেন, মানবাধিকার কাগজে-কলমে নয়-মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনাই আমাদের লক্ষ্য। প্রতিটি মানুষের মর্যাদা অটুট রাখাই মানবতার সর্বোচ্চ বিজয়।