আবু তাহের, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ত্রিশাল মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর বিজয় র্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘চির উন্নত মম শির’ স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ, আত্মদান ও অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ত্রিশালবাসীর যে আনন্দ, আবেগ ও মুক্তির অনুভূতি ছিল, আজ হয়তো ঠিক সেভাবে অনুভব করতে পারি না, কিন্তু সেই চেতনা আমাদের মধ্যে এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। ত্রিশাল মুক্ত দিবস থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়—এ দুয়ের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করেছি। ভবিষ্যতেও এই অর্জন ধরে রেখে প্রকৃত বাংলাদেশি হিসেবে স্বাধীনভাবে বাঁচার প্রত্যয় থাকতে হবে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং ত্রিশাল মুক্ত দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, চারুকলা অনুষদের ডিন ও উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ (রাশেদ সুখন), আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।