
নয়ন আলী নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মরলটোলা গ্রামের আব্দুল কারিমের ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাবুপুর মোড় নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা নয়নকে চাপাতি দিয়ে দুই পা এবং দুই হাত কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
বাবুপুর মোড় স্থানের স্থানীয়রা জানান, যুবদল কর্মী নয়নকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তারা উদ্ধার করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল জেলা হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ইসরুল ইসলাম তুষার জানান, তার দুই হাত ও দুই পায়ে গভীর জখম থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আনার সময়ই নয়ন মৃত্যুপথযাত্রী ছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়নের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ডা. ইসরুল ইসলাম তুষার বলেন, “রোগীটি আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আমাদের এখানে আসে। তার দেহে একাধিক কাটার আঘাত ছিল। দুই পায়ের হাঁটু ও হাঁটুর নিচে গভীর কাটাছেঁড়া ছিল। দুই হাতেও অনেকগুলো ক্ষত ছিল। আমরা ধারণা করছি, তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রোগীটি হাইপোভোলেমিক শকে ছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করি।”