প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ৮:২১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:৫৬ পি.এম
নলছিটিতে প্রধান শিক্ষীকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
নলছিটি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষীকা মলিনা রানী যোগদান করার পর থেকেই তার অধিনস্ত সহকারী শিক্ষক/শিক্ষীকারা ও ছাত্র ছাত্রী জ্বালায় অতিষ্ঠ। কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে সে বলে আমার উপর মহলে লোক আছে।
সহকারী শিক্ষকদের এবং স্কুলের জমীদাতাদের বলে আমার সাথে বাড়াবারি করলে স্কুল বন্ধ করে দেবো। করুয়াকাঠি স্কুলে আসার আগে মালুয়ার সঃ প্রাঃ বিঃ ও কান্ডাপাশা গোহালকাঠী সঃ প্রাঃ বিঃ একাধিক দুর্নীতির কারনে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়। এরপরে করুয়াকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই তার দুর্নীতি শুরু করে আবারো।
এর কিছু ফিরিস্তি হল :
- বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা দেয়া।
- ১১ টায় বিদ্যালয়ে এসে ১২ টার আগেই চলে যাওয়া।
- স্লিপ বরাদ্দ পুরোপুরি আত্মসাৎ করা।
- কন্টিজেন্সির অর্থ আত্মসাৎ
- বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ।
- বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম বাড়িতে নিয়ে যাওয়া।
- বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বই বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ।
- শিক্ষকদের নামাজের স্থান ভাংচুর ও ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদান।
- মিড ডে মিলের রুটি আত্মসাৎ।
- শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে হেনস্থা করা।
- শিক্ষকদের হাজিরা মুছে C.L লিখে দেয়া।
- শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা।
- রুটিনে ক্লাস থাকলেও ক্লাস না নেয়া।
- শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রলোভন দেখানো।
- বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোনো কাজ না করা।
- অভিবাবকদের সাথে অসদাচরণ করা।
- বিদ্যালয়ের মাঠে ছেলে মেয়েদের খেলাধুলায় বাধাদান করা।
- এলাকার ছেলেমেয়েদের গালিগালাজ করা।
- এলাকার গন্যমান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা।
- শিক্ষক ও অভিবাবকদের মিসডকল দিয়ে বিরক্ত করা।
- এলাকার লোকদের থেকে বিভিন্ন জিনিস বাকীতে নিয়ে টাকা না দেয়া।
- গাড়ি ভাড়া না দেয়া।
- বিদ্যালয়ের টিউবয়েল ও মোটর মেরামত করেনা, ফলে শিক্ষার্থীরা খাবার পানির সংকটে ভুগছে।
- বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন: চক, ডাস্টার, কাগজ কলম কোনোকিছুই কেনেন না। এমনকি
- পরীক্ষার খাতাও কেনেন না।
এছাড়াও সরকারি নিয়মঅনুযায়ী বাচ্চাদের পরিক্ষার ফি না থাকা সত্বেও তিনি টাকা তোলেন। সহকারী শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলেন তাই সহকারী শিক্ষক দের দাবি হয় প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে থাকবে না হয় তারা থাকবে। তারা এই প্রধান শিক্ষকের অধিনে থাকতে চায় না। অর্থ এলাকার অভিভাবক এবং ছাএছাএী প্রধান শিক্ষক মলিনা রানীর অপসারণ চায়।
সম্পাদকঃ এম এ জাফর লিটন, প্রকাশকঃ ইয়াসমিন খাতুন, বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ জেলা সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশে, মোনালিসা প্লাজার দ্বিতীয় তলা, মনিরামপুর বাজার, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।