মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী- আমতলী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের আমতলীর ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জুু গাজীর মেশিনারি দোকানে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাত দল লোকালয়ে প্রবেশ করে। ওই ডাকাত দলের সদস্য আমিরুল ইসলামকে (৪০) উপজেলার হাজার টাকার বাঁধ এলাকা থেকে স্থাণীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দেয়।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই ডাকাত দলের আরেক সদস্যকে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার পুলিশ আটক করেছে। তার নাম এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পটুয়াখালী- আমতলী কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে আমতলীর ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জুু গাজীর মালিকানাধীন মেশিনারি দোকানে একটি পিকআপ ভ্যান গাড়িতে ৭-৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল ডাকাতি সংঘঠিত করে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশের টহল দল তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার দিকে যায়। ওই থানার পুলিশ একজন ডাকাতকে আটক করে। পরে ডাকাত দল পুনঃরায় আমতলীর দিকে ফিরে আসলে পুলিশ তাদের আবারো ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা হাইওয়ের রাস্তা ছেড়ে গাড়ি নিয়ে লোকালয়ের একটি রাস্তায় প্রবেশ করে। ডাকাত দল কিছুদুর গিয়ে কুকুয়া ইউনিয়নের হাজার টাকার বাঁধ এলাকায় তাদের ব্যবহৃত গাড়ীটি রেখে পালিয়ে যায়।
ওই সময় স্থানীয় জনতা আমিরুল ইসলাম নামের একজন ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত ডাকাত আমিরুলের বাড়ী পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার রাধানগর এলাকায়। তার বাবার নাম ফোরকান শেখ। পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান গাড়ীটি জব্দ করেছে। অপর ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ হাজার টাকার বাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল তাদেও ব্যবহৃত গাড়ীটি রেখে পালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা ধাওয়া করে ডাকাত আমিরুল ইসলামকে আটক করেছি। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আমতলী ও মহিপুর থানায় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর ডাকাতদের আটক করতে মাঠে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের কাছে একটি দোকানে ডাকাতি করার সময় টহল পুলিশ খবর পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। তারা মহিপুর থানার দিকে চলে যায়। ওই থানার পুলিশ এক ডাকাতকে আটক করেছে। মহিপুর থানা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পুনঃরায় ডাকাতদল আমতলীর দিকে ফিরে আসলে পুলিশের ধাওয়ায় তারা লোকালয়ে প্রবেশ করে।