নাহিদ খান, ববি প্রতিনিধিঃ
বাদী বরুণ কুমার দে দুজনকে প্রধান আসামি করে নালিশি দরখাস্তে ৮ জন কে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
চাঁদা না পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে-কে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপ-রেজিস্ট্রার অভিযোগ করেছেন, একটি চক্র তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল এবং সেই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও-সহ বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছড়িয়ে দিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে।
গত ৪ নভেম্বর এই মামলাটি 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮'-এর ২৩/২৭/২৯ ও ৩০ ধারায় দায়ের করা হয়েছে। বাদী বরুণ কুমার দে দুজনকে প্রধান আসামি করে নালিশি দরখাস্তে ৮ জন কে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামি দুজন হলেন দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এম এম বাকী বিল্লাহ ও জাবের আকন। সহযোগী ৮ জন লিংকার্স ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন ও মডারেটর। তারা হলেন, মুক্তাদির রিজভী, জাওয়াদুর রহমান, আফসানা কবির, গাজী আবু রায়হান, মো: নাহিদ হাসান, ইমরান মুন্না, সাব্বির মাহমুদ, ফজলে রাব্বি রকি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার কাছে অবৈধ সুবিধা দাবি করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে থাকে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী সহকর্মীর বাসায় পারিবারিক প্রয়োজনে অবস্থানকালে অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিডিও ও অশ্লীল ছবি তৈরি করে ফেসবুকে ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তরা পুনরায় গত ৩০ অক্টোবর "Linkers In Barishal University" নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর ছবি বিকৃত করে নারী দেহের সঙ্গে যুক্ত করে তার ছবি-সহ "Expose Alert" শিরোনামে একটি মিথ্যা ও মানহানিকর পোস্ট প্রচার করে। এই পোস্টে তার বিরুদ্ধে প্রেমের ছলনা, চাকরির প্রলোভন, প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার, নারী সহকর্মীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও যৌন হয়রানির মতো গুরুতর মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। এতে তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বরুণ কুমার দে দাবি করে বলেন, পুরো ঘটনার ২২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে, যেখানে চাঁদা দাবির কথোপকথন সংরক্ষিত আছে। সংশ্লিষ্ট বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।