মোঃ সোহাগ আহমেদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কেঁচোসার উৎপাদন ও জৈব চাষাবাদে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিল কারিতাস। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রচারের অংশ হিসেবে সফলভাবে পালিত হলো 'ধরিত্রী প্রকল্পের মাঠ দিবস'।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকায় CAFED (Eco-enterprise Development and Marketing –Vermicompost) প্রকল্পের আওতায় এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। মূল লক্ষ্য ছিল: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা তৈরি এবং কেঁচোসার (Vermicompost)-সহ জৈব পণ্যের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এলাকার কৃষক ও প্রকল্পের উপকারভোগীবৃন্দ, কারিতাসের কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সার্বজনীন প্রার্থনা পরিচালনা করেন ধরিত্রী প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর কাজল ঘরামী। জুনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা (ধরিত্রী ও একরযাব প্রকল্প) মি. জর্জ বৈরাগী সভার সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আশ্রাফ আলী হাং।
স্বাগত বক্তব্যে জর্জ বৈরাগী বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জৈব কৃষি ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের দাবি।"
মো. আশ্রাফ আলী হাং কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "উন্নত চাষাবাদে জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা কৃষকদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করবে। কেঁচোসার ব্যবহারে জমির উর্বরতা বাড়ে এবং ফসলের উৎপাদন খরচ কমে।"
মাঠ দিবসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মুক্ত আলোচনা পর্ব। কৃষকরা তাঁদের জৈব চাষের অভিজ্ঞতা, সুপারিশ এবং মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। বিশেষভাবে কেঁচো সার (Vermicompost)-এর বাজারজাতকরণ এবং জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ প্রসারে করণীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
জুনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা জর্জ বৈরাগী সকল অংশগ্রহণকারী, কৃষক ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।কারিতাস বরিশাল অঞ্চল কর্তৃক বাস্তবায়িত এই মাঠ দিবস, স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে জৈব কৃষিতে আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়াতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।