মোঃ আতেফ ভূঁইয়া, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর ৪০নং ওয়ার্ড মেঘডুবী (চিড়ইবাড়ী), জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসায় হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে এক ইসলামি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূবাইলে মেঘডুবীর জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ যেন ইলম ও নূরের উৎসবে পরিণত হয়েছিল রবিবার (১৬নভেম্বর) সন্ধ্যায়,শায়খ মুফতি আনোয়ার মাহমুদ দা.বা.-এর সভাপতিত্বে এবং মুহতামিম মুফতি মুস্তাকিম বিল্লাহ দা.বা.-এর সঞ্চালনায় হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলন বাদ আসর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসূলুল্লাহা-এর ৩৭তম বংশধর, শায়খুল ইসলাম হযরত সাইয়্যিদ হোসাইন আহমাদ মাদানি রহ.-এর দৌহিত্র, মুসলমানদের অবিসংবাদিত নেতা ফিদায়ে মিল্লাত সাইয়্যিদ আসআদ মাদানি রহ.-এর সুযোগ্য সাহেবযাদা, আওলাদে রাসূল আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানি দা.বা.—যাঁর আগমনে পুরো প্রাঙ্গণ নূরে আলোকিত হয়ে ওঠে।
মাহফিলটি উদ্বোধন করেন জামিয়ার সম্মানিত মুতাওয়াল্লি জনাব সালেক পারভেজ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার মজলিশে আমেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ (নুরালি) এবং সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুফতি নাছির উদ্দীন খাঁন। আমন্ত্রিত বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন:টঙ্গী দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি মাসউদুল করিম দা.বা. মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামি ঢাকা–র মুহাদ্দিস, গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ইউসুফ জামিল দা.বা.
পূবাইল ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামছুদ্দিন খন্দকার দা.বা. মীরের বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ দা.বা.মেঘডুবী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিজুল ইসলাম দা.বা. জামিয়া মাহমুদিয়া দেশিপাড়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি জসিম উদ্দীন দা.বা. প্রমুখ সম্মানিত ওয়ায়েজিনে কেরাম।
এছাড়াও এলাকার অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ জনতার উপস্থিতিতে মজলিস ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
প্রধান মেহমান আওলাদে রাসূল আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানি দা.বা. তাঁর গভীর প্রেরণাদায়ী আলোচনায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের পুরস্কার এবং নাফরমানীর পরিণতি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
তিনি মুসলিম সমাজে দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্যতা তুলে ধরে বলেন, “আল্লাহর রাসূল এর মিশন বাস্তবায়ন করতে চাইলে সন্তানদেরকে মাদরাসায় দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। দ্বীনি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না।”
মাহফিল জুড়ে ছিল নূর, ইলম এবং মুহাব্বতের আবহ। হাফেজ ছাত্রদের মাথায় পাগড়ি বাঁধানোর মুহূর্তে পরিবেশ আরও পবিত্র হয়ে ওঠে।