সানাউল্লাহ আস সুদাইস, হিজলা প্রতিনিধি:
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৯ টায় চৌকিদার বাড়ির পথে একটি মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি রাস্তার পাশে সুপারি নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল নাফিস (১৪) বাচ্চু কাজীর ছেলে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি না করে দ্রুত ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনাটি ঘটানো নাফিস (১৪) আগেও এলোমেলোভাবে মোটরসাইকেল চালাতো, যা নিয়ে পূর্বেও অভিযোগ ছিল।
দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়। স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার (২.৫ লাখ) টাকা দেওয়ার প্রস্তাব উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
হিজলা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুরআনী-নুর ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ আহমাদুল্লাহ বলেন,শহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালানো রোধে প্রশাসনের আরও কঠোর মনোযোগ দরকার। পরিবার যেন যথাযথ ন্যায়বিচার পায় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কাসেমুল উলূম ইসলামীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সালাহ উদ্দিন খান সাহেব বলেন,এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমরা নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে, এ জন্য অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি আরও নজর দেওয়া জরুরি।
শহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় গভীর শোক নেমে এসেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।