বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
আরিফুল ইসলাম,শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের পাঁচ পাইকা গ্রামের এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান শামীম। হাটিহাটি পায়ে পার করেছেন জীবনের ৩০টি বয়স। পেশায় শিক্ষকতা করেছেন বেশ কিছুদিন। একটি কেজি স্কুলে ছোট ছোট সোনামণিদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক জ্ঞানের আলো।
শুধু শিক্ষকতা নয় পাশাপাশি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। কিন্তু শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ হননি মাহমুদুল হাসান শামীম। বরং মানুষের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ একজন তরুণ হিসেবেই তিনি আজ সবার কাছে বেশি পরিচিত। মানুষের সেবাই নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের মাঝেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা তাকে নিয়ে গিয়েছে মানবতার শিখরে। তিনি কাজ করেছেন মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, জাতির জন্য। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত করেছে, করেছে অনুপ্রাণিত।
মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা মাহমুদুল হাসান শামীম শৈশব থেকেই চেয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মানুষের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রাখতে। ফাজিল স্নাতক সম্পন্ন করার পর শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সমাজের নানা সমস্যার কথা চিন্তা করেন তিনি।আর সমস্যাগুলো সমাধানে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন। ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মানুষের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
মাহমুদুল হাসান শামীম মানবিক কাজের শুরুটা করেছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। আশেপাশের অসহায় মানুষদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহযোগিতা করতে গিয়ে ধীরে ধীরে যুক্ত হন বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে। এলাকার অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করা সহ সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় শামীমের অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রচেষ্টা। তার এই মানবিক কাজের নিরলস প্রচেষ্টা তাকে এনে দিয়েছে মানুষের ভালোবাসা, মানুষের আস্থা।
গ্রামের প্রবীণরা বলেন, “শামীম শুধু একজন ইমাম নন, তিনি আমাদের এলাকার আশীর্বাদ। নিজের মতো করে সবসময় চেষ্টা করেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তিনি সবসময় চেয়েছেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। চেয়েছেন মানুষের মাঝে নিজেকে রাখতে”।
স্থানীয়রা বলেন, “শামীম সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। তার নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা করে থাকেন আমাদের। তাকে আমরা জনগণের কাজ করার সুযোগ করে দিতে চাই ইনশাআল্লাহ।”
শামীম নিজে বিশ্বাস করেন, “মানুষের পাশে দাঁড়ানো টা সৌভাগ্যের। মানুষের জন্য কাজ করতে পারলেই জীবনের সার্থকতা আসে।” তাই ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধতা থাকলেও থেমে যাননি তিনি। শত বাধা বিপত্তি পেরিয়েও তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে করেছেন সমাজের সেবামূলক কাজ । মানবিক অনুরাগী মানুষের সহযোগিতা এবং সমাজের তরুণদের সাথে হাত মিলিয়ে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আজকের সমাজে যেখানে হানাহানি, ,মারামারি, ভাঙচুর, সব স্বার্থকেন্দ্রিকতার প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে, সেখানে মাহমুদুল হাসান শামীম হয়ে উঠেছেন এক ভিন্নধারার দৃষ্টান্ত একজন মানবিক শামীম। তিনি প্রমাণ করেছেন অল্প সম্পদ দিয়েও যদি ইচ্ছা থাকে, তবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব এবং মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব।
হয়তো শামীমের মতো নিবেদিতপ্রাণ তরুণদের হাত ধরেই তৈরি হবে একটি মানবিক সমাজ, একটি মানবিক বাংলাদেশ।যেখানে মানুষে মাঝে থাকবে না ভেদাভেদ শুধু থাকবে ভালোবাসা আর সহমর্মিতা হবে সবার শেকড়ের পরিচয়
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩