সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
৭ আগষ্ট ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার রাত আনুমান সাড়ে নয ঘটিকার সময় প্রতিদিনের মত তিন জন জেলে কালি মোহন দাস(৬৫),মনিন্দ্র দাস(৫৫), ও দিলীপ সরকার(৩৫)তারা নদীতে মাছ ধরতে যায়।তারা প্রায় সাত বছর যাবৎ একসাথে মাছ ধরার কাজ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার রাতেও তারা তিনজন মিলে প্রতিদিনের মতো তারা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ভলাকুট উত্তর পাড়া গাঙ্গের পাড় নৌকা দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া।
সেদিন মনিন্দ্র দাস একটু অসুস্থ থাকায় তিনি নৌকার মধ্যে শুয়ে ছিলেন।তারপর কালী মোহন দাস তাকে গালিগালাজ করতে থাকে।মনিন্দ্র দাস অসুস্থ বলে প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে কালী মোহন দাস মনিন্দ্র দাসের মাথায় নৌকার বইটা দিয়ে সজোরে আঘাত করে।
মনিন্দ্র দাস রক্তাক্ত হয়ে নৌকায় লুটিয়ে পরে।দিলীপ দাস এই দৃশ্য দেখার পর চিৎকার দিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে আসে।তারা প্রথমে নাসিরনগর সরকারি হাসপাতালে যায়।কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রোগীর অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয় ।ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত কাল শনিবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় মনিন্দ্র দাস
মৃত্যুবরণ করে।এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানোর পরও স্বাচ্ছন্দে বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো হত্যাকারী কালী মোহন দাস।
আহত মনিন্দ্র দাসের লোকজন থানায় অভিযোগ জানালে, নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজহারুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে এস আই কামাল হোসেনকে দায়িত্ব দেন।রাত প্রায় সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় এস আই কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামি কালী মোহন দাসকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান,এটি একটি হত্যা মামলা আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩