মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জুলাই জাতীয় সনদের আইনী ভিত্তি ও গণভোটের পরই নির্বাচন দিতে হবে-মাওলানা আবদুল হালিম রংপুরে জাপা ছেড়ে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান জয়পুরহাটে জেলা জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন জুডোর নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা শুরু হচ্ছে আজ কুবিতে মঞ্চস্থ হলো ‘মুখ ও মুখোশ’ বাউফলে ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টা প্রতিবাদে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ের উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারে একমত ঢাকা ও ইসলামাবাদ সুনামগঞ্জে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি ও পথসভা শ্যামনগরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান আটক চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুতস্পৃষ্টে কিশোর জয়ের মৃত্যু নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার গণধোলাই দিয়ে ৩ ডাকাতকে পুলিশে সোপর্দ মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি চৌদ্দগ্রামে মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ গ্রামবাসী পাঁচবিবি জামায়াতের বিশাল নির্বাচনী কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, পথচারী এক নারী নিহত কোম্পানীগঞ্জে ১,৮৩০ বোতল ভারতীয় মদ আটক

রামদা হাতে রাজাকার বধ করা সাহসিনী বীরাঙ্গনা সখিনা বেগম আর নেই

 

দিনার, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মৃত্যু বরণ করেছেন । আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখিনা বেগমের ভাগনী ফাইরুন্নেছা আক্তার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের পিতার নাম মৃতঃ সোনাফর মিয়া এবং মাতার নাম মৃতঃ দুঃখী বিবি।

তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এলাকাবাসী এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামের সখিনা বেগম ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে অংশ নিয়ে তিনি একাই রামদা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন সখিনা বেগম। ১৯ অক্টোবর নিকলী উপজেলাকে পাকহানাদার ও রাজাকারমুক্ত করার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে তার বোনের ছেলে মতিউর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন।

অক্টোবরের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বড় ধরনের আক্রমণ চালালে বহু পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ওই অভিযানে সখিনা বেগম একাই রামদা দিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। তার ব্যবহৃত রামদাটি বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নামফলকে বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে।

নারী হয়েও যুদ্ধের ময়দানে সাহসিকতা দেখানোয় ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকার তাকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন। নিঃসন্তান সখিনা বেগম স্বামী-হারা অবস্থায় বরমাইপাড়া এলাকায় খালার বাড়িতে আশ্রিত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিছ আলী ‘জনপদ সংবাদ’ কে বলেন, সখিনা বেগম ছিলেন এক দুঃসাহসিক নারী মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের পরও স্থানীয় অনেক রাজাকার তার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলো। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩